একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতে থাকতে সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টাতে থাকে। তার মানেই ভাঙন ধরা অনিবার্য নয়। বিয়ে পুরনো হলেও সুখী জীবন কাটানো যায়। খেয়াল রাখতে হবে বিশেষ কয়েকটি দিকে।

এবারের প্রতিবেদনে সে রকম কয়েকটি দিকের কথা জানুন।

পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, সম্মানের অভাব, একে অন্যকে বোঝার চেষ্টা না করা, সময়ের অভাব, আর্থিক অনটন, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মিলের অভাব, দাম্পত্য সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি, এমন নানা কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরে। কখনো কখনো বিষয়টা এমন জায়গায় পৌঁছায়, ভালো থাকতে বিচ্ছেদের পথই বেছে নিতে হয়। কিন্তু সেই পরিস্থিতি আসার আগেই সাবধান হতে পারেন।

পুরনো দাম্পত্যেও মাধুর্য বজায় থাকবে যেভাবে

ভালবাসা ও গ্রহণযোগ্যতা

কোনো মানুষই নিখুঁত নয়। কেউ শুধুই ভালো, কেউ একেবারেই খারাপ, তেমনটা কিন্তু হয় না। ভালো-খারাপ মিলিয়েই মানুষ। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে।

সেই বিয়েও কিন্তু ভেঙে যায়। কারণ বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই অন্যের দোষ-ত্রুটিগুলো অনেক বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। সামান্য জিনিস নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। সম্পর্কে ঝগড়া জরুরি। কিন্তু অন্যের ত্রুটিগুলি ক্রমাগত তুলে ধরলে সে ক্ষেত্রে সম্পর্কে ক্রমে তিক্ততা বাড়বে।

আরও পড়ুন:  বিডিআর হত্যাকাণ্ড: আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন

ভালোবাসলে খারাপ-ভালো দুটিই গ্রহণ করতে হবে। তার চেয়ে বরং একে অন্যের ভালো দিকগুলোকে শ্রদ্ধা করুন।
বিশ্বাস ও সততা

সম্পর্কে ভালোবাসা ও বিশ্বাস খুব জরুরি। বিশ্বাস তৈরি হতে যত সময় লাগে, ভাঙতে ঠিক তার উল্টো। আর বিশ্বাস এক বার ভাঙলে তা ফের তৈরি করা খুব কঠিন। তাই সম্পর্কের ভিত্তি যেন কখনো না ভেঙে যায় সেটি দুজনকেই দেখতে হবে। ভিত্তি মজবুত হলে জীবনের ঝড়-ঝাপটা যত কঠিন হোক না কেন, ঠিকই এগিয়ে যাওয়া যাবে।

পুরনো ভালো লাগা বজায় রাখুন

স্বামীর প্রতি অনেক স্ত্রীর অভিযোগ থাকে, তিনি আর আগের মতো নেই। আগে একসঙ্গে ঘুরতে যেতেন। বাইরে খেতেন, সিনেমা দেখতেন। কখনো এমনটাও স্ত্রীর মনে হয় স্বামী বুঝি আগের মতো ভালোবাসেন না। সংসার করতে গিয়ে দৈনন্দিন নানা চাপে হয়তো আগের মতো এমনটা করা হয় না। তাই বলে একেবারেই কি করা যায় না! সম্পর্ককে ভালো রাখতে গেলে প্রিয় মানুষটির সঙ্গ, যত্ন দুটিই জরুরি। পুরো সপ্তাহের চাপ, কাজ নিয়ে উদ্বেগ ভুলে কয়েকটা ঘণ্টা স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মতো সময় কাটালে সম্পর্ক আরো মধুর হবে।

আরও পড়ুন:  চাঁদ দেখা কমিটি বসছে সন্ধ্যায়

ভবিষ্যৎ নিয়েও বোঝাপড়া থাকুক

সংসার করতে গিয়ে সন্তান, পরিবার সামলানোর দায়দায়িত্ব থাকেই। বিষয়টা মোটেও সহজ নয়। সঞ্চয়, সন্তানের পড়াশোনা, প্রয়োজনে মাথা গোঁজার ঠাঁই, ভালো থাকার জন্য ঘুরতে যাওয়া, অসুস্থতার জন্য খরচ জোগাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা হয়। সংসারে একজন উপার্জনকারী হলে চাপ বেশি হয়। এ ক্ষেত্রে স্বামীই একমাত্র উপার্জনকারী হলে সঞ্চয়ের পরিকল্পনায় স্ত্রীকেও এগিয়ে আসতে হব। সংসারের খরচাপাতি কমিয়ে টাকা জমানো যায়। দুজনেই উপার্জনকারী হলে একসঙ্গে অর্থনৈতিক দায়িত্বও ভাগ করে নিতে পারেন। হয়তো স্বামী গাড়ি কেনার খরচ দিয়েছেন, স্ত্রী গাড়িচালকের খরচ বা জ্বালানির খরচ বহন করলেন। এটা নিজস্ব বোঝাপড়া।

শারীরিক সম্পর্ক

সুখী, সুন্দর জীবনের জন্য সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক জরুরি। এতে মন ভালো থাকে। সম্পর্কও মজবুত থাকে। এই শারীরিক সম্পর্ক মানে শুধু শারীরিক সঙ্গম নয়। একে অপরকে জড়িয়ে ধরাও। প্রয়োজনে অন্যের বুকে মাথা রেখে আস্থা খোঁজা। স্পর্শের মধ্যেও নির্ভরতা থাকে।

আরও পড়ুন:  জলবায়ু সংকটে সমুদ্রের তাপপ্রবাহ তিন গুণ বেড়েছে : গবেষণা

সূত্র : আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *