ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছিলেন এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল নিক্ষেপের ফলে প্রায় ৩০ জন আহত হন, কিন্তু পুলিশ তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দেয়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে বলে আশা করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ও কার্যকর সমাধান প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং তাদের দাবিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। আইনের শাসন মেনে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সামিহা বলেন, এতো কাছ থেকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করবে, এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। আমাদের অনেক সহপাঠী আঘাত পেয়েছে। পুলিশ যতই টিয়ারশেল নিক্ষেপ করুক, আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, আহত ব্র্যাক শিক্ষার্থীদের আনা-নেয়ার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালককেও গুলি করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোন অ্যাম্বুলেন্সকেও ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদেরকে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।