বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি হিসেবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন‘ পালন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছেন এবং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ও ইট ছড়িয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
এর ফলে মহাসড়কে শত শত গাড়ি আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাজধানীর রায়েরবাগ ও মাতুয়াইল এবং নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকাতেও আন্দোলনকারীদের অবস্থান ও বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে তাদের হাতে লাঠিসোটা দেখা গেছে।
এ ধরনের আন্দোলন ও বিক্ষোভের সময় সব পক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ যানজটের কারণে হেঁটে যাচ্ছেন যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান কর্মসূচির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার ও কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়েছে। এর ফলে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে এবং যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। কোনো যানবাহন ঢাকার বাইরে যেতে পারছে না এবং কোনো যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত হাজারো যাত্রী হেঁটে যাচ্ছেন।
এর আগে বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যার ফলে শনিরআখড়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গভীর রাতেও এই সংঘর্ষ চলে। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সড়ক অবরোধ হয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা যাত্রাবাড়ী থানায়ও হামলা চালান।
সংঘর্ষের সময় গুলিতে শিশুসহ অন্তত ছয়জন আহত হন, এবং হানিফ ফ্লাইওভারে সিয়াম নামের একজন যুবক গুলিতে নিহত হন।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সকল পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি। সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করা উচিত, যাতে করে সাধারণ জনগণের কষ্ট কমানো যায় এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।