সকল সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ রাজধানী ঢাকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই শাটডাউনের কারণে ঢাকার অভ্যন্তরে এবং দূরপাল্লার মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজধানীতে বিপণী বিতানগুলোসহ অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। শাটডাউনের ফলে রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। রিকশা ছাড়া গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। এই আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ একদফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজকের এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ আহ্বান করেছেন।
বুধবার কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারী প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ফেসবুক পেজ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে বাস মালিক সমিতি সরকারের নির্দেশে বাস চলাচলের ঘোষণা দিলেও বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার ও আন্তনগর কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে, ঢাকার শনির আখড়ায় বুধবার রাতে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আটকে থাকা বাস-ট্রাক ও মালবাহী লরিগুলো আজও সড়কে আটকে রয়েছে।
বুধবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যাক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও একদফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।”
ওই পোস্টে আরও বলা হয়, ‘শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি সফল করুন। আমাদের অভিভাবকদের বলছি, আমরা আপনাদেরই সন্তান। আমাদের পাশে দাঁড়ান, রক্ষা করুন। এই লড়াইটা শুধু ছাত্রদের না, দলমত নির্বিশেষে এদেশের আপামর জনসাধারণের।’