শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে সন্ত্রাসীরা: প্রধানমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সন্ত্রাসীরা ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।

সরকার প্রধান বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।

আরও পড়ুন:  সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ডা. জোবাইদা রহমান

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যারা হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে তাদের পরিবারের জন্য জীবন–জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা দরকার তা আমি করব।

আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আরও ঘোষণা করছি, হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু বিচারের ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সেসব বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

আরও পড়ুন:  নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা

তিনি বলেন, কাদের উসকানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিল, তা তদন্ত করে বের করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *