কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বেরোবির ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বেরোবি ক্যাম্পাসে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্র/ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আজ সকাল থেকেই আতঙ্কে হল ছাড়ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, চলমান কোটা ইস্যু নিয়ে গতকাল সারাদেশে ছয়জন নিহতের খবরে জীবনের অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কে আছেন তারা। তাছাড়া ক্যাম্পাসের অবস্থা ভালো না। বাড়ি থেকে অভিভাবকরাও বারবার ফোন করে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে বলছেন। তাই আবাসিক হল ছেড়ে বাড়ি অথবা নিকটাত্মীয়ের বাসায় উঠছেন তারা। পরিস্থিতি ভালো হলে তারপর হলে ফিরবো।
এদিকে মঙ্গলবার সারাদেশের মতো রংপুরের বেরোবিতেও সহিংসতা হলে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ বুধবার সকাল ১১ট্য়া বেরোবি ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ আশপাশের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।