মোহাম্মদ ফয়সাল আলম :

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়িয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে এডিবি, যা পূর্বের ৪ দশমিক ৯ শতাংশের পূর্বাভাসের চেয়ে একটু বেশি। তবে পরবর্তী বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশেই থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

https://dakdiyejai.news/

এডিবি মনে করছে, এ অঞ্চলের দেশীয় চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা চলতি বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির মূল কারণ। এছাড়া বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ধীরে ধীরে সহনশীল পর্যায়ে আসা এবং উচ্চ সুদহারের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের জন্য এ অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতিও কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা সমন্বয় করতে পারার কারণে অর্থনৈতিক গতি ফিরে আসছে বলে মনে করছে এডিবি। তাছাড়া মহামারির পরে রফতানি কার্যক্রম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে, এ অঞ্চলের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে বলে জানায় সংস্থাটি।

আরও পড়ুন:  রাজধানীসহ ১৩ জেলায় ঝড়ো হাওয়ার আভাস

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে, চলতি বছরে উন্নয়নশীল এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে। এর পূর্ববর্তী পূর্বাভাসে এটি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ধরা হয়েছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর দেশীয় চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে বলে মনে করে এডিবি।

এডিবি আরও উল্লেখ করেছে যে, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ধীরে ধীরে সহনশীল পর্যায়ে আসা এবং উচ্চ সুদহারের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কারণে এ অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে। মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা সমন্বয় করতে পারায় অর্থনৈতিক গতি ফিরে আসছে। এছাড়া, মহামারির পরে রফতানি কার্যক্রম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়াও এ অঞ্চলের অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়ক হচ্ছে বলে জানিয়েছে এডিবি।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশকে আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

https://dakdiyejai.news/

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেছেন, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় এ বছরের একই সময়ে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটছে। তবে এখনও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার জন্য নীতি-নির্ধারকদের আরও সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে, নির্বাচনের কারণে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সুদহারের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আরও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিরূপ আবহাওয়া এবং খাদ্যপণ্য রফতানিতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনও অনেক বেশি। তবে এ অঞ্চলের মধ্যে ভারত এখনও সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে এবং ২০২৪ অর্থবছরেও অপরিবর্তিত ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে দেশটি। এডিবি ধারণা করছে, এ ক্ষেত্রে ভারতের শিল্পখাত আরও শক্তিশালী হবে।

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এডিবি পূর্বাভাস দিয়েছে যে এই প্রবৃদ্ধি ২০২৪ সালে বেড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছাবে।

আরও পড়ুন:  ডিসি নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তের ৩ উপদেষ্টা

https://dakdiyejai.news/

তবে মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিল এডিবি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে কমে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে এবং পরবর্তী অর্থবছরে (২০২৪-২৫) আরও কমে ৭ শতাংশে নামবে।

চলতি অর্থবছরে ভারতের ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পর সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল বাংলাদেশের, যা এডিবির মতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ইতিবাচক দিকগুলোকে তুলে ধরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *