কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ইস্যুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্যদের আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন

তিনি মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক আলোচনায় বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি উল্লেখ করেন, “ছাত্রলীগের সঙ্গে যারা মুখোমুখি হয়েছে, সেটা সংগঠনটিকে অজনপ্রিয় করার একটা চক্রান্ত। কারণ এক বা দুইটা দল মুখোমুখি হলে ছাত্রলীগ যদি কাউকে আঘাত করে, অথবা ছাত্রলীগ মারধরের শিকার হয়, তখন হয়তো পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। এতে ছাত্রলীগের ক্ষতি হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “তবে নিজেদের প্রমাণ করার জন্য অনেকে ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। কিন্তু এটা কি তিনি বুঝেন না যে, কাউকে মারধর করলে সেটার ভিডিও হচ্ছে, সারা দেশের লোকজন দেখছেন! এতে ছাত্রলীগেরই ক্ষতি হচ্ছে। যারা বুঝেন, তারা কখনো এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ান না।”

আরও পড়ুন:  কাঠ দিয়ে কৃত্রিম উপগ্রহ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল জাপান

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনারা প্রকৃত অর্থে কাউকে প্রতিহত করতে চাইলে, যদি দেখেন যে আন্দোলনের বাইরে থেকে কেউ এসে সরকার বা রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায়, তখন তাদের আপনারা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন। কিন্তু নিজেরা আইন হাতে তুলে নেবেন না। এটি আপনাদের বড় ভাই হিসেবে আমি বলছি। আমিও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী।”

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে এমন মন্তব্য করেন। গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার পর থেকেই ফেসবুকে ছড়াতে থাকে, ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতি-নাতনি’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর প্রতিক্রিয়ায় নিজেকে ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়ে রাতভর বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:  ব্রুনাইয়ের যুবরাজের জমকালো বিয়ে

এরপর সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। কয়েক ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *