কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের সকল বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিটি গণতান্ত্রিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং সকল পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া উচিত।

এই বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ছাত্রলীগের হামলা ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং তাদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছে যারা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছে।

এই ঘটনা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আরও পড়ুন:  রমজানের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্র বিক্ষোভ সম্পর্কে বলেন, “আমরা ঢাকাসহ বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়ে অবগত এবং পর্যবেক্ষণ করছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যে কোনো বিকাশমান গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা করি। যারা এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা।”

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে শিক্ষার্থীরা টানা বেশ কয়েক দিন ধরে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের হামলায় এই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের চতুর্মুখী হামলায় প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন। বিকেল তিনটা থেকে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।

আরও পড়ুন:  বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট নিরসনে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ: সজীব ওয়াজেদ

এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছে এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *