ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি, বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া

নির্বাচনী সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা মর্মাহত হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

শনিবারের বন্দুক হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীরা।

এই হামলায় একজন দর্শক নিহত এবং অন্য দুই দর্শক গুরুতর আহত হয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার বলেছেন, তিনি সমাবেশে ‘মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত’ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমাজে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’

‘এটিকে অন্ধকার সময়’ বলে উল্লেখ করে হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী নেতা ভিক্টর অরবান ট্রাম্পের প্রতি ‘সমর্থন এবং তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা’ জানিয়েছেন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, তিনি পেনসিলভানিয়া থেকে ‘আশঙ্কার সাথে’ আপডেটগুলো অনুসরণ করছেন এবং তিনি ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এই ডানপন্থী নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারের পরবর্তী মাসগুলোতে সংলাপ এবং দায়িত্বশীলতা  যেন ঘৃণা ও সহিংসতার উপর বিজয়ী হতে পারে।’

আরও পড়ুন:  সীমান্তে টানা ৮ম রাতেও ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই হত্যাচেষ্টার পর এ ঘটনায় ‘আন্তর্জাতিক বামদের’ দায়ী করেছেন। প্রেসিডেন্ট বলেছেন ‘নির্বাচনে পরাজয়ের আতঙ্কে, তারা তাদের পশ্চাৎপদ এবং স্বৈরাচারী এজেন্ডা চাপিয়ে  দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নেয়।’

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংলাপের সকল রক্ষকদের এই গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দা করা উচিত।’

কোস্টারিকার সরকার হামলার নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে তারা ‘এই অগ্রহণযোগ্য ঘটনার’ আপডেট অনুসরণ করছে। কোস্টারিকার প্রেসিডেন্সি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও শান্তির পক্ষের নেতা হিসাবে, আমরা সব ধরনের সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করি।’

চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক গুলি চালানোর ঘটনার ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছেন। বোরিক বলেছেন, ‘সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এবং একসাথে আমাদের জীবনকে দুর্বল করে দেয়। আমাদের সকলকে অবশ্যই তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’

আরও পড়ুন:  ৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন

বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স বলেছেন, ‘আমাদের গভীর মতাদর্শগত এবং রাজনৈতিক পার্থক্য সত্ত্বেও, সহিংসতা যেখান থেকেই আসুক না কেন, সর্বদা সকলের প্রত্যাখ্যান করা উচিত।’

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাজনৈতিক আক্রমণের বিরুদ্ধে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে এমন  যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ শ্যুটিংকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসাবে বর্ণনা করেন এবং ট্রাম্প নিরাপদ ছিলেন বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস লুক্সন একই ধরনের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে করেছেন, ‘কোনো দেশের এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী সারা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর আপাত আক্রমণে হতবাক’। নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা তার নিরাপত্তা এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *