রোনালদোর ‘সিউ’ উদযাপন আর্জেন্টিনার অনুশীলনে 

 নিকোলাস গনজালেজের উদযাপন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘সিউ’ উদযাপন ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। তার এই উদযাপন শুধুমাত্র ফুটবলে নয়, অন্যান্য খেলাতেও প্রচলিত হয়েছে।

রোনালদোর ‘সিউ’ উদযাপন অনেকটাই তার কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক মানসিকতার প্রতীক। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস এবং আল নাসর সহ বিভিন্ন ক্লাব এবং পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় তিনি এই উদযাপনের মাধ্যমে তার খুশি প্রকাশ করেছেন।

এই উদযাপন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে এটি বিভিন্ন খেলার মধ্যে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে। ফুটবলের বাইরেও ক্রিকেট, রাগবি, বেসবল, টেনিস, ফর্মুলা ওয়ান, মোটর বাইক রেসিং, আইস হকি, ভলিবল এবং বক্সিংয়ে এটি ব্যবহৃত হয়েছে। এটি স্পোর্টসের সব ধরনের ডিসিপ্লিনে একটি সাধারণ দৃশ্য হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন:  এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘সিউ’ উদযাপন শুধু তার নিজস্ব উদযাপন নয়, এটি অনেক ফুটবল তারকার কাছেও প্রিয়। নেইমার, টনি ক্রুস, মার্সেলো, কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর্লিং হলান্ড, ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফায়েল লিও সহ অনেকেই গোল করার পর বা অনুশীলনে এই উদযাপন করে থাকেন।

তবে, মেসি ও রোনালদোর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের অনেকেই রোনালদোর উদযাপনকে ভালোভাবে নেন না। উদাহরণস্বরূপ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ আর্জেন্টাইন ফুটবলার আলেহান্দ্রো গার্নাচো যখন রোনালদোকে আইডল হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তার ‘সিউ’ উদযাপন করেন, তখন সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। একইভাবে, আর্জেন্টাইন নারী ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড ইয়ামিলা রদ্রিগেজকেও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

রোনালদোর এই উদযাপন যে এতটা জনপ্রিয় হয়েছে, তা তার ক্রীড়াজীবনের প্রতি নিবেদন এবং দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির প্রমাণ। এটি একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে, যা ফুটবলের বাইরেও বিভিন্ন খেলায় ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু কখনো কখনো এটি সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুন:  রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্জেন্টিনা দলের কোপার ফাইনালের আগে অনুশীলনে নিকোলাস গনজালেজের ‘সিউ’ উদযাপন অনেক আর্জেন্টাইন সমর্থককে বিস্মিত করেছে। যখন দলের মধ্যে লিওনেল মেসির মতো তারকা উপস্থিত থাকেন, তখনও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উদযাপন করতে দেখা যায়, যা রোনালদোর প্রভাবের একটি চমৎকার উদাহরণ।

এই ঘটনা রোনালদোর ভক্ত আলেহান্দ্রো গার্নাচোর উপস্থিতির কারণে রোনালদোর প্রভাব আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বলে ধারণা করা যেতে পারে। গার্নাচো নিজে রোনালদোর ভক্ত হওয়ার কারণে হয়তো দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রোনালদোর উদযাপনকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রাখছেন। এছাড়া, রোনালদোর ‘সিউ’ উদযাপন তার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড এবং জনপ্রিয়তার কারণে অনেক ফুটবলার দ্বারা গৃহীত হয়েছে।

মেসির প্রতিপত্তি এবং তার অবদান আর্জেন্টিনার ফুটবলে অমূল্য, তবে রোনালদোর অনুপ্রেরণামূলক চরিত্র ও উদযাপন অনেক তরুণ ফুটবলারের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। এটি রোনালদোর কঠোর পরিশ্রম, অনুপ্রেরণা এবং সাফল্যের প্রতিফলন। ফুটবলের প্রতি ভক্তদের অনুভূতি এবং তাদের প্রিয় তারকাদের উদযাপন নিজেদের মতো করে প্রকাশ করার স্বাধীনতা এই খেলাটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে নির্দেশনা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *