তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন যে, বৈষম্য দূর করার জন্যেই কোটার প্রয়োজন রয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা কখনও বৈষম্য সৃষ্টি করে না। তিনি বলেন, “কোটা বনাম মেধা একটি নেতিবাচক ন্যারেটিভ। কোটা বৈষম্য তৈরি করে না, কোটার উদ্দেশ্য বৈষম্য নিরসন। মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা দীর্ঘ সময় নিগৃহীত হয়েছেন। তারপরও যারা সব ধাপ অতিক্রম করে উত্তীর্ণ হয়, তাদের কীভাবে মেধাবী নয় বলবেন।”
তিনি আরও বলেন, সবাইকে আগে প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইবা দিয়ে পাস করতে হয়, তারপরই কোটার বিষয়টি আসে। এর আগে কোটা থেকে চাকরির সুযোগ নেই। প্রতিমন্ত্রীর মতে, কোটার উদ্দেশ্য হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়া, যাতে তারা মূলধারায় আসতে পারে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন যে, আপিল বিভাগের রায়ের পর কোটা নিয়ে সরকারের কমিশন গঠনের কোনো সুযোগ নেই। এবার তারা জাতীয় সংসদে কোটা সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আদালতের বিষয় নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়; জেনেবুঝেও নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কোটা সমস্যা সমাধানের দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। কোটা সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই একেক সময় একেক দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা।”
প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, “কোটার বিষয়ে সরকার যখন ইতিবাচক ভাবছে, তখন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বারবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। কোটা নিয়ে আদালতের প্রক্রিয়া শেষে, সরকার কী করে; সে জন্য তাদের অপেক্ষা করা উচিত।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “যেকোনো আন্দোলনে দেশবিরোধী একটি অপশক্তি প্রবেশ করে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে, এটি উদ্বেগের।”