বস্তুত, মেধাবীদের কোটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই

বীর প্রতীক কর্নেল ( অবঃ) মোহাম্মেদ দিদারুল আলম
মেধাবীদের মেধা কাজে লাগানোর ক্ষেত্র তো বিশাল – সারা বিশ্বজুড়ে। কর্পোরেট জগত, বহুজাতিক কোম্পানি, বিশ্ব সংস্থা সহ বিশাল কর্মক্ষেত্র পরে আছে তাঁদের জন্য।
তাছাড়া কজন মেধাবী দেশের, প্রকৃত অর্থে, সেবা করার ইচ্ছা পোষণ করে। ৯০ ভাগই তো উন্নত বিশ্বের দিকে ধাবিত হয়। আর পত্রিক সম্মতি বেচে স্থায়ী ভাবে উন্নত বিশ্বের নাগরিক হয়ে যায়। অর্থাৎ টাকা পাচার করে।
মেধাবীদের যারা দেশে চাকরি বাকরি করে তারা সেটা করে সহজ পদ্ধতিতে ধনি হওয়ার জন্য। দেখা যাচ্ছে দুর্নীতির শেখর গজায় তাদেরকে ঘিরেই।
কাজেই মেধাবীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোটা সংস্কার করার প্রয়োজন নেই। বরং পিছিয়ে পড়া জনগোস্টিকে তুলে আনার জন্য কোটা আরও বেশি বেশি প্রয়োজন। মধ্য মেধার জন গোস্টই রাষ্ট্রকে প্রকৃত সেবা দিয়ে থাকে।
মেধাবীরা কোন ঝুঁকি নেয় না। মধ্য মেধা / নিন্ম মধ্য মেধারাই প্রকৃত দেশ প্রেমিক। তারা ঝুঁকি নেয়। মেধাবীরা দেশ প্রেমিক নয়। তারা আত্মপ্রেমিক।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মেধাবীরা নয় বরং মধ্য মেধার মানুষেরা জনগণকে প্রকৃত সেবা দিয়েছে। সমাজ সংস্কার/ স্বাধীনতা সংগ্রাম মধ্য মেধার মানুষদের নেতৃত্বেই হয়েছে। মেধাবীরা সিংহ মহারাজের মত কেবল হালুয়া রুটিই খেয়েছে।
লেখক পরিচিতি- লেখক, গবেষক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। 
সূত্র- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *