ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসও পারস্পরিক আস্থা উপভোগ করছে

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের বক্তব্যে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন, যা ভারতের পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত।

মাসদুপুই বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক এখন ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে মজবুত। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর গত বছরের সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেখানে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা বিশেষভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।

ফ্রান্সের জাতীয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আরও পড়ুন:  ২৪ দিন পর চলাচল শুরু করল মেইল-কমিউটার ট্রেন

মাসদুপুই উল্লেখ করেন, অনেক বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক মনে করেন ফ্রান্সের এই সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ মূলত বাণিজ্যিক কারণে। তারা ‘এয়ারবাস চুক্তি’ ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিষয়কে উল্লেখ করে। তবে, তিনি বলেন, এই ধারণা ভুল এবং প্রতিযোগীদের মাধ্যমে তারা পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য তুলে ধরছেন।

এই বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিশ্লেষণের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য প্রদান করেন।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই আরও বলেন, গত কয়েক মাসে তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেন ফ্রান্স বাংলাদেশের মতো একটি দেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়, যখন এই অঞ্চলে ইতোমধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত অংশীদার রয়েছে।

মাসদুপুই বলেন, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফ্রান্সের যে রূপকল্প তা আমাদের অংশীদারদের সার্বভৌমত্ব ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রতি সম্মানের ভিত্তিতে গড়া।

আরও পড়ুন:  শুল্ক আরোপের পর বিশ্বনেতারা আমার পশ্চাদ্দেশে চুমু খাচ্ছেন: ট্রাম্প

তিনি উল্লেখ করেন, গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যে চিঠি লিখেছেন, তাতে বাংলাদেশের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন অর্জনে ফ্রান্সের সমর্থনের প্রতিফলন পাওয়া যায়।

এই বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই ফ্রান্স-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন এবং ফ্রান্সের রূপকল্পের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *