আর্জেন্টিনা যে দিনটি ভুলে যেতে চাইবে

ঠিক ১০ বছর আগে, ১৩ জুলাই ২০১৪ সালে, মারাকানা স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানির মধ্যে এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অতিরিক্ত সময়ের ১১৩ মিনিটে, জার্মানির মারিও গোটজে আর্জেন্টিনার স্বপ্নকে ভেঙে দিয়ে তার চমৎকার ভলির মাধ্যমে জয়সূচক গোলটি করেন।

গোটজের এই গোলটি জার্মানিকে ১-০ গোলে বিজয়ী করে এবং চতুর্থবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের শিরোপা এনে দেয়। এদিকে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় ও সমর্থকরা মারাকানায় তাদের পরাজয়ের দুঃখে ভেঙে পড়েন। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি এখনও আর্জেন্টাইন সমর্থকদের হৃদয়ে একটি বেদনাদায়ক স্মৃতি হিসেবে থেকে গেছে, অন্যদিকে জার্মান সমর্থকরা গোটজেকে তাদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্মরণ করে।

জার্মানি শেষবার বিশ্বকাপ ট্রফি তুলেছিল ১৯৯০ সালে, যখন তারা ইতালির রোমে একই ব্যবধানে দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল। ২০১৪ সালের ফাইনালে মিরোস্লাভ ক্লোসের বদলি হিসেবে ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে মাঠে নামেন মারিও গোটজে। সন্দেহাতীতভাবে সেদিনের রাতটি আর্জেন্টিনা ভক্তদের জন্যে দীর্ঘ একটি রাত ছিল।

আরও পড়ুন:  ভারতে গেল ৩ কোটি টাকার মাছ

লিওনেল মেসি, গঞ্জালো হিগুয়েইন ও রদ্রিগো পালাসিওর জন্য এই পরাজয় ভুলতে অনেকটা সময় লেগেছিল। স্কোরলাইনটা বিপরীত হতে পারতো, যখন বিরতির ঠিক পরে মেসি গোল করার একটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার শটটি পোস্টের বাইরে চলে যায়। ১২০ মিনিটে তার ফ্রি কিকও মিস করেন তিনি।

অন্যদিকে, গঞ্জালো হিগুয়েন একটি সহজ সুযোগ হারান। টনি ক্রুসের হেডে বলটি তার পায়ের কাছে এসে পড়ে, কিন্তু ম্যানুয়েল নয়ারকে একা পেয়েও তিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাইরে শট নেন। সেই মুহূর্তে হিগুয়েন অবিশ্বাসের সঙ্গে স্থির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, আর ভক্তরা মাথায় হাত চেপে আক্ষেপের সুর তুলেছিলেন।

তবে শেষ পর্যন্ত এই আক্ষেপ ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে ঘুচিয়েছেন মেসি। তরুণ একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে অবসান ঘটিয়েছেন ৩৬ বছরের অপেক্ষার।

আরও পড়ুন:  নববর্ষের সাতসকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *