আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে বলে ধারণা করছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি নিজেই গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, কোটা শুধু বাংলাদেশে নয় অনেক দেশেই প্রচলন রয়েছে। কোটার বিরোধিতা করে কিছু লোক, কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্দোলন করছে। ইতোমধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট সবার ভরসাস্থল। আদালতের নির্দেশনা সবার মেনে চলা উচিত।

কিন্তু কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে না গিয়ে বিভিন্ন সড়কে বসে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। অনেক জায়গায় গাড়িতে তারা হাত দিচ্ছে এবং একটি মামলাও রুজু হয়েছে। কেউ যদি মনে করে আদালত মানবে না, পুলিশের কথা মানবে না; তাহলে আমাদের করার কি আছে? আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে ক্ষমতা আমরা সেটাই করবো। কারণ, আন্দোলনরতরা যদি জান-মালের ক্ষতি করে, সড়ক অবরোধ করে এবং মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি করে তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে যৌক্তিক কাজ সেটাই করা হবে।

আরও পড়ুন:  গাজীপুর সদর থানার ওসিকে বরখাস্তের ঘোষণা, গ্রেপ্তার ১৬

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে কিনা, ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা চলছে কিনা এসব নিয়ে ডিবির টিম ও থানা পুলিশ কাজ করছে। কেউ যদি হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে আন্দোলনের নামে সড়কে নেমে অবরোধ করে গাড়িতে হামলা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তবে আমরা ধরে নিতে পারি অনুপ্রবেশকারীরাই এসব কাজ করছে।

চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, যানবাহনে গতিরোধ ও মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় আসামি হিসেবে ‘অজ্ঞাতপরিচয় অনেককে’ উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *