ঢাকায় টানা বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যাওয়ার সমস্যা নতুন নয়। নগরীর অধিকাংশ এলাকায় এ ধরনের জলাবদ্ধতা প্রতিনিয়ত নগরবাসীর জীবনকে ব্যাহত করে। আজকের বৃষ্টিতে যেমন গ্রিন রোড, মিরপুর, ধানমন্ডি, বনানী, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ-মগবাজার, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বাংলামোটর, বনশ্রী, বাড্ডা এবং আজিমপুরের সড়কগুলোতে কোমরসমান পানি জমে গেছে।
কল্যাণপুরের প্রধান সড়কও পানির নিচে চলে গেছে, বিশেষ করে কল্যাণপুর নতুন বাজার মোড় থেকে কল্যাণপুর গার্লস স্কুল পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে গেছে। রিকশার পাদানিতে পানি উঠে যাচ্ছে এবং পথচারীদের হাঁটু ডুবে যাচ্ছে।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে নগরবাসীর জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হতে পারছে না, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষদের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত কষ্টকর।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও রাতে পর থেকেই বৃষ্টির ধারা কমে আসবে। আগামীকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও খানিকটা কমে যেতে পারে। বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমে আসবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, রাজধানীতে সকাল থেকে তিন ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। তবে সব তথ্য এখনও এসে পৌঁছায়নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে খুলনায়, যেখানে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ ধরনের অবস্থায় নগরবাসীদের সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা করা উচিত এবং অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে নগরজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে।