এই পরিস্থিতিতে সরকারের পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকটি আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সামছুন্নাহার চাঁপা এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
যদিও বৈঠকে অংশ নেওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য দেননি, তবে জানা গেছে যে কোটা আন্দোলন বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় ত্যাগ করেন। প্রথমেই বের হন ওবায়দুল কাদের, তবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তার পরেই বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি।
শিক্ষামন্ত্রী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য দেননি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।” তিনি আরও জানান যে, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। আমরা নিয়মিতই বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, বৈঠকে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বিষয় নয় বরং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে কোটা আন্দোলনও থাকতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান যে, তারা নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, তবে সেই বিষয়গুলো এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার উপযুক্ত নয়। কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করব না। সেটা আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।”