সৌদি আরব প্রথম সারির বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্বের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানাচ্ছে যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এবং অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছে সৌদি প্রশাসন।
নাগরিকত্ব পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও আরও কয়েকটি পেশার বেশ কয়েকজন। তবে, ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
সংবাদ সংস্থা এসপিএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি ভিশন ২০৩০-এর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশটি তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনতে চাইছে এবং এর জন্য বহুমুখী উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানাচ্ছে, প্রথম সারির বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে সৌদি আরবের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং খেলাধুলার খাতকে উন্নত করার উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে, কোন খাতগুলোকে নির্দিষ্ট করে টার্গেট করা হয়েছে তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশারক আল আওসাতের তথ্যমতে, নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিরা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার নাগরিক হেভোলিউশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মেহমুদ খান, বিজ্ঞানী জ্যাকি ইউ-রু ইং, এবং লেবাননের বিজ্ঞানী নেভিন কাশাব।
সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট জানায়, এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন দেওয়া হলো, যা সৌদি ভিশন ২০৩০-এর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। দেশটি তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনতে এবং অন্যান্য সৃজনশীল কাজে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে চায়।