প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গুরুত্ব

৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এর ফলে যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। সফরকালে ১২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ইস্যু অগ্রাধিকার পেতে যাচ্ছে। 

দীর্ঘ ৫ বছর পর বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এ সফরে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়গুলো। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত ১০ বছরে চারবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। এরপর
বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ।

করোনা পরিস্থিতি সামলানোর আগেই বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে, তা থেকে উত্তরণে চীনের কাছ থেকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ চাইতে পারে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:  সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অধ্যাদেশ জারি

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্য ও অর্থনীতিই হবে এবারের সফরের অগ্রাধিকার। ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে চীনের কাছ থেকে বাণিজ্য সহায়তা ও বাজেট সহায়তার আওতায় ঋণ, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, ব্লু ইকোনমি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সমীক্ষার ঘোষণা ও একাধিক সেতু নির্মাণ ও সংস্কার প্রসঙ্গ রয়েছে।

এবারের সফরের বিশেষ দিকটি হবে আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য চীনের ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৪০ কোটি ইউয়ানের বেশি ঋণ। এর মধ্যে বাণিজ্য সহায়তার আওতায় ৫০০ কোটি ও বাজেট সহায়তার আওতায় ২০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে চীনের।

চায়না বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন ভাইস প্রেসিডেন্ট যাদব দেবনাথ বলেন, “ব্যবসা বাণিজ্যে আমাদের অগ্রগতি হবে এবং ডলারের উপর এখন যে চাপ রয়েছে, রিজার্ভ যে কথা বলি সেখানে ভালো একটা পর্যায়ে যেতে পারবো। বিশেষ করে চায়নার সঙ্গে আমাদের চেক-ব্যালেন্স সেটাও কমে আসবে।”

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশের নতুন সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে লিবিয়ার অভিনন্দন

চীন থেকে পণ্য আমদানি করতে বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ ডলার খরচ করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউয়ান ব্যবহার করতে পারলে ডলার সাশ্রয় হবে।

এফবিসিসিআই পরিচালক ইসহাকুল হোসেন সুইট বলেন, “আমাদের এখানে চাইনিজ বিনিয়োগের বিষয়টা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। এর জন্য বিভিন্ন আইন বিশেষ করে এলডিজি গ্র্যাজুয়েশনের পরে এখানে শিল্প কলকারখানার যে অবস্থান, এটার জন্য কাজগুলো করছি সেটা সফল পরিণতি পাচ্ছে। সুতরাং এই সফরে বাণিজ্যে নতুন মাইলস্টোন দাঁড় করাতে পারবো।”

সফরে ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরও জোড়ালো হবে বলেও আশা ব্যবসায়ীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *