যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

ব্রিটেনে জাতীয় নির্বাচন আজ। ‘হাউস অব কমন্স’র ৬৫০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব আসনে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ৯ রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত এটাই রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী। এর মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি রয়েছেন যাদের ৯ জন নারী।  আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হবে যুক্তরাজ্যে।

এ নির্বাচনের মাধ্যমে ১৪ বছর পর আবারও বিরোধী দল লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসতে পারে বলে বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে জরিপের ফলকে পাত্তা দিতে রাজি নন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।

২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি। নিয়মমাফিক পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২২ মে আচমকা আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

আরও পড়ুন:  ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে নুসরাত ফারিয়াকে

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বোচ্চ আট জন। বর্তমান এমপি রুশনারা আলি, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক, আপসানা বেগমসহ লেবার পার্টি মনোনীত প্রত্যেক প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। লেবার পার্টি সরকার গঠন করলে প্রথম বার মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেতে পারেন কোনো কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি।

পুরনো মুখের সঙ্গে নতুন মুখ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত নির্বাচনি এলাকাগুলোয় গাজা ইস্যু নিয়ে ভোট ভাগ হলেও নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। বিতর্কের শুরু লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমারের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের নাম উচ্চারণকে কেন্দ্র করে। তবে সেই বাংলাদেশই এখন নির্বাচনের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনায় অন্যতম বড় আলোচনার বিষয়।

আরও পড়ুন:  শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ

নির্বাচনি জনমত জরিপগুলোর সবশেষ জরিপের ফল অনুযায়ী ৪০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে লেবার পার্টি। ২১ পয়েন্টে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ভালো ফলাফল করলেও নির্বাচনি জরিপে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে রিফর্ম ইউকে।

সার্ভেশনের পোলিং বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেবার পার্টি ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪৮৪টি আসন জিততে পারে, যা পার্টির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের ১৯৯৭ সালের ভূমিধস বিজয়ে ৪১৮টি আসনের চেয়ে অনেক বেশি। আর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ৬৪টি আসন। ১৮৩৪ সালে পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবার সবচেয়ে কম আসনে জিততে পারে তারা।

৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী তিনি। শুধু তাই নয়, তার হাত ধরেই এ প্রথমবার কোনো ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন:  বাবার কবরে চিরশায়িত হলেন শাফিন আহমেদ

অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *