ভারতে পদদলিত হয়ে প্রাণহানি বেড়ে ১২১

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিতের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে গত এক দশকের মধ্যে এটি এ ধরনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।

বুধবার সকালে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার নাম নেই। শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের আয়োজকদের নাম রয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে।

পুণ্যার্থীরা রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরাস শহরে হিন্দু দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার ওই আয়োজনে সমবেত হয়েছিলেন।

উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আলিগড় শহরের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্র ভি বলেছেন, একটি ধূলিঝড়ের কারণে পূর্ণার্থীরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। এ সময়ে তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিণতিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আরও পড়ুন:  হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়ার আহ্বান

তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তার দিকে নজর দিচ্ছি। হতাহত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রাণহানির সংখ্যা ১২১তে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৮ জন।

প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা উমেশ কুমার ত্রিপাঠি বলেছেন, যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের অধিকাংশ নারী।

এদিকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। এক এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য ২,৪০০ মার্কিন ডলার এবং আহতদের জন্যে ৬শ’ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এক্স বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমার সমবেদনা তাদের সাথে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। আমি কামনা করি, আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

আরও পড়ুন:  সারাদেশে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪,৬১৩টি: শিক্ষামন্ত্রী

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ দুর্ঘটনায় ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়ে একে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় প্রায়ই মন্দিরে এ ধরনের অনাকাঙ্কক্ষিত ঘটনা ঘটে। কেরালায় ২০১৬ সালে একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদযাপনকালে আতশবাজির ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জন প্রাণ হারায়।

এছাড়া মধ্যপ্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *