নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বাংলাদেশ-কানাডা একযোগে কাজ করবে : পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কানাডা একযোগে কাজ করবে। 

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কানাডা বাংলাদেশে চলমান পরিবেশ এবং জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার করবে। মন্ত্রী এসময় জ্ঞান বিনিময়, কারিগরি সহায়তা এবং যৌথ প্রকল্পের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আজ সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বাংলাদেশ সচিবালয় অফিসে পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অভিযোজন নিয়ে আলোচনা করা হয়। উভয় পক্ষ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা অগ্রসর করার প্রতিশ্রুতি জোরদার করে।

মন্ত্রী সাবের চৌধুরী জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানসহ জলবায়ু এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো হিসেবে উলে¬খ করেন এবং বৈশ্বিক সংহতি ও সহানুভূতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

আরও পড়ুন:  ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত হয়েছে আসিফ নজরুল

সাবের হোসেন চৌধুরী ব¬কচেইন, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বিকল্প জলবায়ু প্রযুক্তির মতো ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও উলে¬খ করেন। পরিকল্পনাগুলির মধ্যে রয়েছে এই উদ্যোগগুলি বাস্তবায়নের জন্য একটি কার্যকরী দল গঠন এবং এমসিপিপিতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি। তিনি কানাডা-বাংলাদেশ জলবায়ু অংশীদারিত্ব এবং ভবিষ্যতের কপগুলিতে প্রতিনিধিত্বের আশা প্রকাশ করেন।

হাই কমিশনার নিকোলস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহযোগিতার জন্য কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, সহায়তার পুনরাবৃত্তি এড়াতে খাত ভিত্তিক কর্মকান্ডের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, কানাডা প্রযুক্তি, গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং যুব কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায়। তিনি প্রযুক্তি স্থানাস্তর, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং অভিযোজন প্রকল্পগুলির মতো অগ্রাধিকারগুলির উলে¬খ করেন।

হাই কমিশনার নিকোলস চিকিৎসা ও ই-বর্জ্য মোকাবেলা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা শেষ করার দিকে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। নিকোলস বাংলাদেশের জলবায়ু উদ্যোগগুলির জন্য কানাডার সমর্থন এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতার জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন:  নতুন সম্ভাবনা ও আশা নিয়ে এসেছে বাংলা নতুন বছর : পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

বৈঠকটি উভয় পক্ষের শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করার এবং পরিবেশগত ও জলবায়ু বিষয়গুলিতে অব্যাহত সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *