ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেছেন যে, অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের একটি গ্রুপ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে। বিষয়টি তিনি তার নির্বাচনী এলাকার থানার ওসির মারফত জানতে পেরেছেন।
আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “আমি থানায় জিডি করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল যারা হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকেই আমি হুমকির তথ্য পেয়েছি। মৃত্যুর ভয় আমি করি না, কিন্তু আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে চিন্তা করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার থ্রেট তো আমি জানি না, আমার আগে জেনেছেন ওসি। এরপর এটা এসপি বা ডিআইজিকে জানানো দরকার ছিল এবং আমি জানার আগেই আমাকে প্রোটেকশন দেওয়ার কথা ছিল। এরপর আমাকে জানাতে পারতেন যে, ওই থ্রেটটা (হুমকি) রিয়েল নাকি ফেইক। কিন্তু ওসি আমাকে বলেছেন, আমার জিডি করতে হলো।”
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় জিডি করেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২৭ জুন রাত ৮টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থানকালে তার নির্বাচনী এলাকা চুনারুঘাট থানার ওসি তাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেন। ওসি তাকে বলেন, “আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল, তিন দিন আগে চার-পাঁচজনের একটি টিম মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না, সাবধানে থাকবেন।”
ব্যারিস্টার সুমন ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি জানাতে অস্বীকার করেন এবং তাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই ঘটনার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনে ঢাকার শেরেবাংলানগর থানায় জিডির আবেদন করেন।
শেরেবাংলানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, “জিডির একটি কপি আমিও হাতে পেয়েছি।