বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে সুন্দরবনের মধু

সুন্দরবনের মধুকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের আবেদন পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যাদি জার্নাল আকারে প্রস্তুত করে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।

জার্নাল প্রকাশের তারিখ থেকে দুই মাসের মধ্যে কোনো তৃতীয় পক্ষের আপত্তি বা বিরোধিতা না পেলে, পণ্যটি জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হবে। ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট সুন্দরবনের মধুকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিপিডিটি (পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর) প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে আবেদনকারীকে অনুরোধ জানায়। এরপর সুন্দরবনের মধুর পুষ্টিগুণ বিষয়ে বিএসটিআই একটি পরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ডিপিডিটিকে প্রদান করে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন আরও তথ্য সংগ্রহ করে ২০২৩ সালের ২৭ জুন ডিপিডিটিতে পাঠায়।

আরও পড়ুন:  বাস্তব যে চরিত্রের অভিনয় প্রভাব ফেলেছিল দিয়া মির্জার মনে

জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রতিবেশী দেশ ভারত সুন্দরবনের মধুকে তাদের জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ইন্ডিয়ার (আইপিইন্ডিয়া) ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সুন্দরবনের মধুর জিআইর জন্য আবেদন জমা হয়। সকল তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে প্রায় ৩ বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সুন্দরবনের মধুকে জিআই হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।

ডাক দিয়ে যাই // মোহাম্মদ ফয়সাল আলম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *