বিশ্ব ব্যাংক বে-টার্মিনাল প্রকল্পে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা

মোহাম্মদ ফয়সাল আলম:

বিশ্বব্যাংকের অনুমোদিত ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা উন্নত করতে সহায়ক হবে এবং আমদানি ও রপ্তানি ব্যয় কমাবে। এছাড়াও, এটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে যে, এই প্রকল্পের আওতায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে, যা স্রোত এবং চরম আবহাওয়া থেকে পোতাশ্রয়কে রক্ষা করবে। এছাড়াও, বন্দর বেসিন, প্রবেশদ্বার এবং অ্যাক্সেস চ্যানেলগুলির ড্রেজিংও করা হবে। এর মাধ্যমে বন্দর অবকাঠামোর স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। নতুন আধুনিক এই বে টার্মিনাল শীর্ষ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোকে ঘুরানোও আগের থেকে অনেক সহজ হবে। এতে প্রতিদিন আনুমানিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। কিন্তু বন্দরটিকে মাঝে মাঝে সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়।

আরও পড়ুন:  রাশিয়ায় ৭ হাজার কনটেইনার অস্ত্র পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া : সিউল

তিনি বলেন, বে টার্মিনাল প্রকল্পটি একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে, মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।” এ বন্দরে নৌ পথের পাশাপাশি সড়ক এবং রেল যোগাযোগের সুবিধা থাকছে। আর এখানে বছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে ৫০ লাখের বেশি।  বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের প্রধান হুয়া টান বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে বে টার্মিনাল। বে টার্মিনাল স্থাপিত হলে বাংলাদেশের কন্টেইনারের ৩৬ শতাংশ হ্যান্ডলিং করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডার সহ ১০ লাখের বেশি মানুষ এর মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:  মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি শিল্পে কর দ্বিগুন করল সরকার

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পসহ বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *