চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (৩০ জুন)। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭ লাখ ৫০৯ জন। মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭২৫টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬৩টি।
এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নলিখিত নির্দেশনা প্রদান করেছে:
১. পরীক্ষার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। দেরিতে প্রবেশ করলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, এবং দেরির কারণ রেজিস্ট্রারে লিখে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
২. পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
৩. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
৪. পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
৫. পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদের মধ্যে পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য অন্তর্ভুক্ত।
৬. বিশেষ সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, তারা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
৭. প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।