বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির চার আসামি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন:
নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
আমির হোসেন ওরফে আমির হামজা (৪১), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে।
মো. জাকারিয়া (৩৪), বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্ট আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ফরিদ শেখ (৩০), বগুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইসরাইল শেখ চান মিয়ার ছেলে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে তিনি খবর পান যে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়েছে। পরে রাত সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বুধবার সকাল ১০টায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, কারাগারের কনডেম সেল থেকে তিনটার দিকে আসামিরা পালিয়ে যায়। তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
পুলিশ সুপার আরও জানান, চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয় এবং বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেওয়াল টপকিয়ে বাইরে চলে যায়। ভোর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল তল্লাশি শুরু করে এবং ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে চেলোপাড়া চাষী বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদের শনাক্ত করেন। পুলিশ সুপার বলেন, তারা চারজন একই সঙ্গে একটি কক্ষে থাকতেন এবং পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে জেল থেকে পালানোর ঘটনার জন্য মামলা দায়ের করা হবে।