দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রবেশ করে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে। তাবরেজ শামসির অসাধারণ বোলিং এবং প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের নির্ভীক খেলায় জয় নিশ্চিত হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে, তবে কাইল মেয়ার্স এবং রস্টন চেসের ব্যাটিংয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু শামসির বোলিংয়ে দ্রুত উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা বড় সংগ্রহ করতে পারেনি।
১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটায়। বৃষ্টি বিরতির পর ১৭ ওভারে ১২৩ রানের নতুন লক্ষ্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে চাপ সামলে ৫ বল বাকি থাকতে এই লক্ষ্য পূরণ করে প্রোটিয়ারা।
এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে। ইংল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র সব ম্যাচে হারিয়ে শূন্য পয়েন্টে তলানীতে রয়েছে।
তাবরেজ শামসি তার স্পিন বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ নাটকীয় ছিল। ইনিংসের প্রথম চার বলেই আকিল হোসেনকে তিন দফায় বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ভালো সূচনা করেন কুইন্টন ডি কক। তবে দ্বিতীয় ওভারেই তারা দুই ওপেনারকে হারায়। রাসেল এক ওভারেই দুজনকে আউট করে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে দেন।
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার পর নতুন লক্ষ্যে ছোট ছোট অবদান রাখেন এইডেন মার্করাম (১৫ বলে ১৮ রান), ট্রিস্টান স্টাবস (২৭ বলে ২৯ রান) এবং হেনরিক ক্লাসেন (১০ বলে ২২ রান)। তবে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে মহারেজ আউট হলে প্রোটিয়াদের জয় পেতে তখনও ১৪ রান দরকার ছিল।
বিশ্বকাপে ‘চোকার’ তকমা পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা তখন বেশ চাপে ছিল। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মার্কো ইয়েনসেন। তিনি ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন, যাতে একটি ছক্কা এবং একটি চার ছিল। এই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সেমিফাইনালে তাদের জায়গা পাকা করেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৩৫//৯ (মেয়ার্স ৩৫, হোপ ০, পুরান ১, চেইস ৫২, পাওয়েল ১, রাদারফোর্ড ০, রাসেল ১৫, আকিল ৬, জোসেফ ১১*, মোটি ৪*; ইয়ানসেন ২-০-১৭-১, মার্করাম ৪-০-২৮-১, মহারাজ ৪-০-২৪-১, নরকিয়া ৪-০-২৬-০, শামসি ৪-০-২৭-৩, রাবাদা ২-০-১১-১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য ১৭ ওভারে ১২৩) ১৬.১ ওভারে ১২৪/৭ (ডি কক ১২, হেনড্রিকস ০, মার্করাম ১৮, স্টাবস ২৯, ক্লসেন ২২, মিলার ৪, ইয়ানসেন ২১*, মহারাজ ২, রাবাদা ৫*; আকিল ৩-০-৩১-০, রাসেল ৪-০-১৯-২, জোসেফ ৪-০-২৫-২, মোটি ১-০-২০-০, ম্যাককয় ১.১-০-১৫-০, চেইস ৩-০-১২-৩)।
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: তাবরেজ শামসি