মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সরকারের লক্ষ্য: ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “এখন দলের অসমাপ্ত কাজ করা, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন এবং দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সুসম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।”

তিনি এ মন্তব্য করেন আজ শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে।

আরও পড়ুন:  জাতিসংঘের প্রতিবেদন : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মারা গেছেন ৬৫০ জন

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তা হলো- নতুন প্রজন্ম ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন। আমাদের রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে ও থাকবে।”

তিনি জানান, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবাই প্রস্তুত রয়েছে এবং শুক্রবার থেকে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। “আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ এ অর্জন, দেশের স্বাধীনতা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জন এ দেশের উন্নয়ন,” যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সর্বোচ্চ উন্নয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে। তিনি বলেন, “জাতির সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন হচ্ছে- দেশের স্বাধীনতা ও সর্বোচ্চ উন্নয়ন। এ দুটিই এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।”

আরও পড়ুন:  ঢাকা ১৭ আসনে মোহাম্মদ এ আরাফাত এর মনোনয়ন পত্র বৈধ

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “আমরা বিজয়কে এখনো সুসংহত করতে পারিনি, সাম্প্রদায়িকতা এখনো বিজয়ের প্রধান অন্তরায়। ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি।”

তিনি উল্লেখ করেন যে, “দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও দেশের রাজনীতিবিদদের ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য একটি মহল ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিকল্পিতভাবে পাঁয়তারা করছে।”

এই সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম এবং কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *