কোরবানি করতে গিয়ে আহত দেড় শতাধিক

রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় কোরবানির পশু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হলো ১৫০ জনকে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মৌসুমী কসাই, পাশাপাশি শখের বশে গরু কোরবানির সময় সহযোগিতা করতে গিয়ে আহতের এসব ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১৫০ রোগী চিকিৎসা ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন বলে জানা গেছে।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে একটি সূত্র জানায়, বিকাল পর্যন্ত ১৫০ জন রোগী এসেছেন, যারা কোরবানির গরুর জবাই ও গোশত কাটার সময় আহত হয়েছেন। এ কারণে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভরে যায়।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নির্ঝর বিশ্বাস জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গা হতে রোগী আসছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই হাত ও পা কাটা। কোরবানির গরু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে তারা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে নুরুল ইসলাম (৬৯) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে যেসব মহারথীরা

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নার্সিং ইনচার্জ মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৫০ জনের মতো হাসপাতালে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। ঈদের সময় অনেকেই ছুটিতে আছেন। তবে তাদের চিকিৎসার কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না।’

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে ১৪০ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গরুর গুঁতায় পেটে আঘাত পেয়ে নারায়ণগঞ্জ পাইকপাড়া থেকেচিকিৎসা নিতে আসেন মৌসুমী কসাই আমিরুল ইসলাম। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে তারা ছয় জন একটি বড় গরুর জবাই করেন। এ সময় গরুর শিংয়ের গুঁতায় তিনি আহত হন।

এছাড়া ধানমন্ডি এক নম্বর রোডে একটি বাড়িতে গোশত কাটার সময় মৌসুমী কসাই নজরুল আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আরও পড়ুন:  ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির

এদিকে পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে গরু কাটার সময় নাজিম নামে এক ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, গরুর জবাইয়ের সময় হুজুরের ছুরিতে তার হাতের অনেকাংশ কেটে যায়।

রাজধানীর মালিবাগ, ওয়ারী, কমলাপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু কোরবানি দেয়ার সময় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *