প্রতিবছর ঈদ আসলেই মানুষ নানাভাবে নিজস্ব পরিকল্পনায় তাঁর চিন্তা-ভাবনা,চাওয়া-পাওয়া কিংবা ব্যস্ততাকে সাজিয়ে নেই। বয়সের সাথে সাথে যেমন ঈদের আনন্দেও আসে নানা পরিবর্তন। ছাত্রজীবনের ঈদ কিংবা শিক্ষক জীবনে ঈদ প্রত্যেক ঈদেই থাকে আলাদা কর্মপরিকল্পনা।
ঈদ নিয়ে সেসব নানা স্মৃতি,ব্যস্ততা ও কর্মপরিকল্পনা, ভাবনার কথা তুলে ধরছেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও রাবিপ্রবি ছাত্রহলের সহকারী প্রভোস্ট সাদ্দাম হোসেন।
ডাক দিয়ে যাইঃ কোথায়, কীভাবে ঈদ করবেন?
সাদ্দাম হোসেনঃ প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নিজের গ্রামের বাড়ি চকরিয়াতে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো ইনশাল্লাহ।
ডাক দিয়ে যাইঃ কোরবানি ঈদের পরিকল্পনা কী?
সাদ্দাম হোসেনঃ তেমন বড়সড় কোন পরিকল্পনা নেই। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে দেখা করব আর ঈদ কুশল বিনিময় করব। এছাড়া, ইসলামী শরীয় মোতাবেক গ্রামের গরীব দুঃখী মানুষদের মাঝে মাংস বিতরণ ও আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করার ইচ্ছা আছে।
ডাক দিয়ে যাইঃ আপনার কাছে কোরবানির ঈদের মাহাত্ম্য কি? যদি একটু বর্ণনা করতেন।
সাদ্দাম হোসেনঃ আমার জানামতে, কোরবানির মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে মনের গভীরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া নিয়ে প্রিয় বস্তু তাঁর নামে উৎসর্গ করা। এই ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ” আমার কাছে এগুলোর গোশত ও রক্ত পৌঁছায় না, পৌঁছায় শুধু তোমাদের মনের তাকওয়া ”। আর, তাকওয়ার মাধ্যমে মানুষের আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। আমার মতে, কোরবানি যেন হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্তরায়!
ডাক দিয়ে যাইঃ ঈদের দিনকে কীভাবে পালন করে থাকেন, যদি একটু জানাতেন।
সাদ্দাম হোসেনঃ ঈদ-উল-আযহার দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল শেষে নতুন জামা-কাপড় পড়ে ঈদগাহে চলে যায়। নামাজ শেষে সবার সাথে ঈদের কুশলাদি বিনিময় করে বাড়িতে চলে আসি। সকালের নাস্তা শেষে পশু কোরবানী শেষে মাংস কাটাকাটিতে সবার সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করি। তখন একটা আনন্দ কাজ করে। দুপুরে পরিবারের সকলেই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করি। তাছাড়া, রুটি দিয়ে গরুর মাংস আমার খুব ফেভারিট।
ডাক দিয়ে যাইঃ অতীত বা ঈদ নিয়ে ছোট বেলার স্মৃতিচারণ ও ঈদের স্মরণীয় কোন স্মৃতি।
সাদ্দাম হোসেনঃ ঐরকম তেমন কোন অতীত স্মৃতি নাই। একটা সময় গরুর হাট দেখার জন্য অধিক আগ্রহ কাজ করলেও এখন সেটার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। হয়ত সময়ের সাথে সাথে এসবের পরিবর্তন এসেছে।
ডাক দিয়ে যাইঃ ঈদ নিয়ে রাবিপ্রবিয়ানদের উদ্দেশ্য বিশেষ কোনো বার্তা থাকলে দিতে পারেন।
সাদ্দাম হোসেনঃ সকল রাবিপ্রবিয়ানদের (আবাসিক-অনাবাসিক) জানায় আমার পক্ষ থেকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। আমাদের রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় মিলনমেলায় এক অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পারস্পরিক হিংসা ও ভেদাভেদ ভুলে সকলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। ছুটি শেষে সকলের সাথে আবারো দেখা হবে। সবাই সুস্থ শরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসুক এই কামনা করি। রাবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকল রাবিপ্রবিয়ানরা নিরলসভাবে তাঁদের প্রচেষ্টার অব্যাহত রাখুক এই প্রত্যাশাই থাকবে।
এছাড়াও বিশেষ বার্তা হিসেবে বলবো “আপনারা কোরবানির ঈদে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবেন। নিজের এলাকায় কোথাও পশুর বর্জ্য অব্যবস্থাপনা দেখা মাত্রই পরিবেশ সংরক্ষণের তাগিদে সেটার ক্ষতিকর প্রভাব সকলের সামনে তুলে ধরুন। সচেতনার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুন।
ডাক দিয়ে যাইঃ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অগ্রিম ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা রইলো।
সাদ্দাম হোসেনঃ ডাক দিয়ে যাইকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।