যুক্তরাষ্ট্রের অপেক্ষা বাড়িয়ে সুপার এইটে ভারত

আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাযুক্তরাস্ট্রকে হারিয়ে তাদের সঙ্গী হল ভারতও। নিউ ইয়র্কের ম্যাচে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। নিজ মাঠে আর্শদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিং তোপে ১১০ রানে থেমেছে যুক্তরাস্ট্রের ইনিংস।

ওই রান তাড়ায় শুরুটা ভালো না হলেও সূর্য্যকুমার যাদব এবং শিভম দুবের ব্যাটের দৃঢতায় ১০ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ভারত। নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিক যুক্তরাস্ট্রকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান রোহিত শর্মা। ভারতের শুরুও হয় দুর্দান্ত। ইনিংসের প্রথম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আর্শদীপ সিং।

প্রথম বলে শায়ান জাহাঙ্গীরকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলার পর ষষ্ঠ বলে ফেরান আন্দ্রে গউসকে। এরপর নিতিশ কুমার এবং হারমিত সিংকেও শিকার বানান এই বাঁহাতি পেসার। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে মোটে ৯ রান খরচায় তিনি নেন ৪ উইকেট। আর্শদীপ সিংয়ের মারাত্বক বোলিংয়ের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার তোপে কোনোরকমে একশ পেরোয় যুক্তরাস্ট্রের স্কোর। রানতাড়ায় ১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুটা নড়বড়ে হয় ভারতেরও। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে বিরাট কোহলিকে তুলে নেন একসময় ভারত অণূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা সৌরভ নেত্রভালকর। নিজের প্রথম বলে গউসকে ক্যাচ দিয়েছেন কোহলি। নেত্রভালকর দ্বিতীয় ওভারে শিকার বানান অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও। ঋশভ পান্ট আউট হোন ১৮ রান করে।

আরও পড়ুন:  রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২২ রানের সময় ক্যাচ দিয়েছিলেন সূর্য্যকুমার যাদবও। তখন ভারতের স্কোর ছিল ১৩ ওভারে ৫৯ রান। নেত্রভালকর ক্যাচটা নিতে পারেননি ভারতও হারেনি ম্যাচটা। জীবন পাওয়া সূর্য্যকুমারের (৫০*) এবং শিভম দুবের (৩১*) ব্যাটে সব শঙ্কা দূর করে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

নিউ ইয়র্কের এই ম্যাচে নজর ছিল পাকিস্তানেরও। যুক্তরাস্ট্রকে হারিয়ে সুপার এইটের টিকিট কাটার পাশাপাশি বাবর আজমদেরও সুখবরও দিয়েছে রোহিতরা। যুক্তরাস্ট্র নিজেদের পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারাতে না পারলে পরের পর্বের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠবে পাকিস্তানের। তবে এ জন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে দুই পয়েন্ট পেতেই হবে পাকিস্তানকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *