কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে সতর্ক নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কেনাবেচায় ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং পশুবাহী যান চলাচল নির্বিঘ্ন করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভায়’ পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন মার্কেটে মনিটরিং জোরদার করাসহ কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা, পরিবহন, হাট ও অনলাইন মার্কেট ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর যথেষ্ট জোগান রয়েছে। সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে যৌক্তিক মূল্যে কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। কৃত্রিম সংকট যেন তৈরি না হতে পারে সে লক্ষ্যে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সভায় নেয়া এই সিদ্ধান্তগুলো নিম্নরূপ:
কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে সতর্ক নজরদারি: অনলাইন মার্কেটের মনিটরিং জোরদার করা হবে।
পশুবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচল: মাঠ প্রশাসন ও আন্তঃদফতর সমন্বয়ের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
পশুর হাট স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পুলিশ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নির্দিষ্ট স্থানে হাট স্থাপন নিশ্চিত করবে এবং যত্রতত্র হাট গড়ে ওঠা রোধ করবে।
পশুর হাট ব্যবস্থাপনা: সংশ্লিষ্ট সব দফতর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে।
নিরাপত্তা এবং প্রতারণা রোধ: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পশু কোরবানির নির্দিষ্ট স্থান: সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে স্বল্পতম সময়ে শতভাগ বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
চামড়া মূল্য নির্ধারণ ও সংরক্ষণ: স্থানীয় প্রশাসন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
চামড়া সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা: স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
প্রচারণা: সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চামড়া সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে।
এছাড়াও, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায় যে, এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর যথেষ্ট জোগান রয়েছে এবং সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে যৌক্তিক মূল্যে কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।