মানুষের বেড়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পুষ্টিকর খাদ্য। এ ধরনের খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা বাড়ানো এবং পুষ্টি বিষয়ক সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধানে প্রযুক্তির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরে পুষ্টি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক ন্যাশনাল ওয়ার্কশপে।
কেয়ার বাংলাদেশের নেতৃত্বে জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকামস (জেএএনও) কনসোর্টিয়ামের যৌথ উদ্যোগে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। জেএএনওর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্য:
শামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব: শামসুল আরেফিন বলেন, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। পুষ্টি বিষয়ক সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধানে প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মো. শহিদুল আলম, খাদ্য পরিকল্পনা ইউনিটের মহাপরিচালক: খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দিয়ে মো. শহিদুল আলম বলেন, মানুষের বেড়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পুষ্টিকর খাদ্য। পুষ্টিগুণ বিবেচনা করে খাদ্য গ্রহণে আরও সচেতন হতে হবে। সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ-সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ড. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক: ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা দরকার।
প্রযুক্তির ভূমিকা:
প্রযুক্তি বিভিন্নভাবে পুষ্টি সমস্যার টেকসই সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পুষ্টি সম্পর্কিত সঠিক তথ্য ও পরামর্শ প্রদান ড্রোন, IoT ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের সঠিক বৃদ্ধি ও পুষ্টিমান নিশ্চিত করা। খাদ্য সরবরাহ চেইনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জনগণের পুষ্টিগত প্রয়োজন ও খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস নিরীক্ষণ করা। AI ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে ব্যক্তিগত পুষ্টি পরিকল্পনা তৈরি করা।
এই প্রযুক্তিগুলোর কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে পুষ্টি সমস্যার টেকসই সমাধান করা সম্ভব, যা মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।