dakdiyajaiy

রক্ত দান একটি মহৎ কাজ এবং এটি অনেক জীবন রক্ষা করতে পারে। তবে রক্ত দানের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা জরুরি।

রক্ত দেয়ার আগেই জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য, এখানে কিছু প্রধান তথ্য তুলে ধরা হলো:

শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন:

  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা: রক্ত দানের আগে আপনার রক্তচাপ, হার্টবিট, হিমোগ্লোবিন লেভেল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা করা হবে।
  • ওজন: সাধারণত রক্ত দানের জন্য ন্যূনতম ওজন ৫০ কেজি (১১০ পাউন্ড) হওয়া উচিত।
  • বয়স: সাধারণত ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে রক্ত দান করা যায়।

রোগ ও সংক্রমণ:

  • সংক্রামক রোগ: আপনি যদি হেপাটাইটিস, HIV/AIDS, সিফিলিস বা অন্য কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন বা অতীতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে রক্ত দান করা উচিত নয়।
  • জ্বর বা ইনফেকশন: যদি সাম্প্রতিককালে জ্বর বা অন্য কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তবে রক্ত দান করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন:  বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়ানো অসভ্যতার শেষ সীমা: কাদের সিদ্দিকী

ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সমস্যা:

  • ওষুধ গ্রহণ: যদি আপনি কোনো ওষুধ গ্রহণ করেন, বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ, তবে রক্ত দানের আগে ডাক্তার বা রক্ত দান সংস্থার সাথে পরামর্শ করুন।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যানিমিয়া বা অন্য কোন দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে রক্ত দানের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

খাদ্যাভ্যাস ও প্রস্তুতি:

  • খাদ্য গ্রহণ: রক্ত দানের আগে এবং পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। দানের আগে খুব বেশি চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
  • বিশ্রাম: রক্ত দানের আগের রাতে ভালোভাবে ঘুমানো গুরুত্বপূর্ণ।

রক্ত দানের প্রক্রিয়া:

  • সময়কাল: রক্ত দানের প্রক্রিয়া সাধারণত ১০-১৫ মিনিট সময় নেয়। পুরো প্রক্রিয়া প্রস্তুতি সহ ১ ঘন্টার মতো সময় নিতে পারে।
  • পরিমাণ: সাধারণত একবারে ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হয়, যা শরীরের মোট রক্তের প্রায় ১০%।
আরও পড়ুন:  তাইওয়ানকে দেয়া অঙ্গীকার আমরা ভঙ্গ করবো না : পেলোসি

রক্ত দানের পর:

  • বিশ্রাম: রক্ত দানের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন এবং প্রচুর পানি পান করুন।
  • পোশাক: রক্ত দানের পর ভারী শারীরিক কার্যকলাপ বা ভারী জিনিস তুলা থেকে বিরত থাকুন।

রক্ত দান করলে আপনি শুধু একটি জীবনের রক্ষাকারী নন, বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যকেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত রক্ত দান করলে আপনার শরীর নতুন রক্ত কোষ তৈরি করতে সহায়ক হয়। তাছাড়া, এটি আপনার রক্ত চাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

 

ডাক দিয়ে যাই // মোহাম্মদ ফয়সাল আলম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *