আগামী রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও এর আগে বলা হয়েছিল শনিবার (৭ জুন) নরেন্দ্র মোদি শপথ নিতে পারেন। শুক্রবার (৭ জুন) ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, ২৪০ আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এ বার বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কারণ, ৫৪৫ আসনের (দু’টি মনোনীত আসন-সহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। অথচ বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। তাই সরকার গঠন করতে তাদের শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হবে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি-ইউ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এবার মোদির দল সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন না পাওয়ায় এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারের লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে তাকে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে। মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) জোটের মোট আসনসংখ্যা হয়েছে ২৩৩টি।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি-ইউ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এবার মোদির দল সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন না পাওয়ায় এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারের লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলাতে মোদিকে অনুরোধ করেছেন মুর্মু।
মানবকণ্ঠ/এফআই