স্বাস্থ্যমন্ত্রী: তামাকমুক্ত দেশ গড়তে সবাই একযোগে কাজ করুন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী: তামাকমুক্ত দেশ গড়তে সবাই একযোগে কাজ করুন

ধূমপান অধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ক্রনিক লাং ডিজিজসহ নানা অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। তামাকের আগ্রাসন হতে শিশু-কিশোদের সুরক্ষা প্রদান করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিবার-ভিত্তিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের ওপর জোর দেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। শুধুমাত্র তামাক আইন নয়, সব ক্ষেত্রেই সচেতনতা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন– তা পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (৩১ মে) ঢাকার শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন:  ভিসা নীতি শিথিল করলো ওমান

মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে আজকের এ দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো এ দিবসটি পালন করে আসছে। ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তামাকবিরোধী র‍্যালি, মেলা, আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান, ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ ব্যাপক পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন প্রতিটা ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষতি করে।

তিনি আরও বলেন, তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮৭ লাখ মানুষ অকালে মারা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে  ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান স্পিকার সামিটে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন- তা বাস্তবায়নে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রণয়ন, জাতীয় তামাক করনীতি প্রণয়ন ও বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হয়েছে। তা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে এবং প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:  চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেপ্তার ইস্যুতে ভারতের প্রতিক্রিয়া

স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনিস্টিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৪’ তুলে দেন। এ ছাড়া তিনি তামাকবিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

 

@dakdiyejai.news  @ডাকদিয়েযাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *