ঢাকার তাপদাহ সামনের বছরগুলোতে আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টের এক গবেষণাভিত্তিক প্রতিবেদন। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের রাজধানী হতে পারে বিশ্বের ষষ্ঠতম দাবদাহের নগরী।
ইকোনমিস্টের ‘রেজিলিয়েন্ট সিটিজ ইনডেক্স : এ গ্লোবাল বেঞ্চমার্ক অব আরবান রিস্ক, রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাছাই করা দাবদাহের শিকার ২৫টি শহরের তালিকায় ছয় নম্বরে থাকবে ঢাকা। সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত থাকবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, মিসরের কায়রো, ভারতের নয়াদিল্লি, থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। এর পরেই থাকবে বাংলাদেশের ঢাকা শহর।
রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে জলাভূমি ও খোলা জায়গা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। গাছপালা খুবই কম থাকা ও অতিমাত্রায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারের কারণেও গ্রীষ্মে তাপের তীব্রতা বাড়ছে।
তাপ শুষে নিতে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তার ঘাটতি ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, সবুজের অভাব, ভবনের অসম উচ্চতা ও মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সব মিলিয়ে শহুরে তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই হার পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও নগর অবকাঠামোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ৩১ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত সারা দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলেছে। ১৯৪৮ সাল থেকে কখনো এত দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল না।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল মাস ছিল দেশে গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্ক। এ মাসে সর্বোচ্চ গড় মাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। এপ্রিলের এই তাপমাত্রা গত ৭৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর, আদাবর ও ধানমণ্ডি সবচেয়ে উষ্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। সব মিলিয়ে এই শহরের ৯০ শতাংশ এলাকার মানুষ দাবদাহের কারণে ঝুঁকিতে থাকে। সামনের দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে পারে।
@dakdiyejai.news @ডাকদিয়েযাই
#dakdiyejai.news #ডাকদিয়েযাই







