বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদকৃত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এবং ইসরাইলী আগ্রাসনে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তায় বিশ্বনেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। 

বুধবার (১৫ মে) সকালে ‘আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান সরকারের যৌথ উদ্যোগে দুদিনের এ সংলাপের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও মৃত্যুহার হ্রাসের বিষয়ে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। ১৫ বছরে কমেছে বাল্যবিবাহ ও শিশু মৃত্যুর হার।

আরও পড়ুন:  নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের গুরুত্ব তুলে ধরে তাদের সহায়তায় আরও বেশি আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনে সংঘাত বন্ধের জোর দাবি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘকে এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

বিশ্বের বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে জনসম্পদে রূপান্তর করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পারি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিৎ করতে নতুন জাতীয় স্বস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু হয়। বিশেষ করে মা ও শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনতে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। কিন্তু দুর্ভাগ্য নেমে আসে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশে ৫০ লাখ স্কাউট তৈরি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আহ্বান রাষ্ট্রপতি

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল গঠন করেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপরেই দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আসে এবং সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেয়।

সাংলাপে স্থানীয় ও জাতীয় সরকার, অ্যাকাডেমিয়া, থিংক ট্যাংক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সামাজিক সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রায় দুই শ’ জন প্রতিনিধি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন বা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, জনসংখ্যা পরিবর্তনের বিষয়ে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *