প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরের আহবান জানান তিনি।

আজ রোববার সকালে গণভবনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় শিক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বস নেমেছিলো উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, শিক্ষার হার ও মান উন্নত করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করেন। গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি একটি বোতাম টিপে ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও পাসের হারে ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে কেন, এর কারণ খুঁজতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন:  ডিজিএফআইয়ের প্রধান হলেন মেজর জে. ফয়জুর রহমান

তিনি বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, এটা আমরা জানি। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কখনও উন্নতি করা যায় না। সেজন্য আমাদের সরকার সবসময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষাতে আমরা যে ব্যয় করি, এটাকে আমরা ব্যয় বলি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলে গেছেন এটা বিনিয়োগ। শিক্ষাতে আমরা বিনিয়োগ করি।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল মানুষকে লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহিত করা। যাতে তারা লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি দিনে দিনে সাক্ষরতা হার বেড়েছে। শিক্ষা অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর কেউ যদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে তাদেরকে স্কুলে পাঠানো আমাদের দায়িত্ব। শুধুমাত্র বিএ-এমএ পাস করবে তা নয়, সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার বা বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা প্রবর্তন করতে চাই।

আরও পড়ুন:  শুক্রবার বরিশাল সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, জাতির পিতা শিক্ষা নীতিমালা প্রমাণ করেছিলেন। হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু সেটা সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। তারপর জাতির পিতাকে হত্যা করা হল। সেই নীতিমালা আর কখনও আলোর মুখ দেখেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর সেই নীতিমালার আলোকে প্রণয়ন করার জন্য একটা কমিশন গঠন করেছিলাম। ২০০১ আমরা সরকারে আসতে পারলাম না, আবারও সেই শিক্ষা নীতিমালা ডিপ ফ্রিজে চলে গেল। এরপর আর কোনও উদ্যোগ ছিল না। দ্বিতীয়বার যখন সরকারে এলাম তখন নীতিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সময় উপযোগী করে যখনই সেটার সংশোধনের প্রয়োজন হবে, পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনও সময় গেছে মাসের পর মাস ফলাফল পড়ে থেকেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা পায়নি। কিন্তু এখন একটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

নয়টি সাধারণ, একটি মাদ্রাসা এবং একটি কারিগরি নিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়্যারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন। পরে সকাল ১১টার দিকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

 

@dakdiyejai.news  @ডাকদিয়েযাই

#dakdiyejai.news   #ডাকদিয়েযাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *