পয়েলা বৈশাখে ওড়ানো যাবে না ফানুস, ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে অনুষ্ঠান

বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ওড়ানো যাবে না ফানুস, পোড়ানো যাবে না আতশবাজি, বাজানো যাবে না ভুভুজেলা, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে সব অনুষ্ঠান। কেউ এর ব্যত্যয় করলেই কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। যে কোনো ধরনের অপপ্রচার ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রাখা হবে নজরদারি।

প্রতি বছর বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয় বৈশাখী অনুষ্ঠানকে ঘিরে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা হয়। সেখানে ১৩ নির্দেশনা দেওয়া হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে।

নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে আতশবাজি পোড়ানো ও ভুভুজেলা বাজানোও। সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে ফানুস বা আতশবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন:  কাদের জোরে এমন ত্রাস চালায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা?

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রত্যেক যদি আমরা নিজ জায়গা থেকে ফানুসের ব্যাপারে, আগুনের ব্যাপারে সচেতন না হই তাহলে এটি কঠিন। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আমাদের যে অর্ডিন্যান্স আছে সেটা কিন্তু আমরা ব্যবহার করবো। যদি কেউ এর ব্যতয় ঘটায় তাহলে আইন প্রয়োগ করা হবে।’

বাংলা নববর্ষ নিয়ে অপপ্রচার চালালে আইনের আওতায় আনা হবে, বলছে ডিএমপি। এছাড়া, ১৩ নির্দেশনার কোনোটি অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘যেখানে একটি ইমারতের সঙ্গে আরেকটি ইমারত লাগানো। প্রতিটি জায়গায় মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নিশ্চই তারা মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে আনন্দ করবে, আমি মনে করি যারা এই ভুলটি করছে তাদেরও বোধোদয় হবে। আস্তে আস্তে কমে আসবে এটা আমরা আশা করি। আর এর বাহিরে আমরা আইন প্রয়োগ করবো।’

আরও পড়ুন:  মার্চ ফর ইউনিটি : শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু

প্রতি বছরের মতো এবারও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ঢাকা মহানগর ছাড়াও সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স ও মেডিকেল টিম থাকবে বলেও জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *