টেকনাফে ফের ৮ জনকে অপহরণ

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ফের ৮ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। বুধবার সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে তারা অপহরণের শিকার হন।

অপহৃতরা হলেন– টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রৈক্ষং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।

এর আগে মঙ্গলবার হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাহাড়ি এলাকায় গরু চরাতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন দু’জন। তারা এখনও ফেরেননি।

আরও পড়ুন:  ২ মার্চ ব্যাহত হবে ইন্টারনেট সেবা

অপহৃত শাকিলের বাবা লেদু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে শাকিল গরু চরাতে যায় হোয়াইক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে। দুপুরে অপহরণকারী আমাকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি গরিব মানুষ মাটি কেটে সংসার চালাই। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। আমার ভাই ফরিদ আলমও অপহরণের শিকার। ভাই ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানান তিনি প্রশাসনের কাছে।

তবে মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, আজও আমার এলাকা থেকে ৮ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে অপহরণের শিকার ২ জনের এখনও খোঁজ মেলেনি। অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন:  সুইডেনের রাজকুমারীর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন

এর আগে ২১ মার্চ ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন পাঁচ কৃষক। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। যারা ফিরে এসেছেন, তাদের বেশির ভাগকেই মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *