প্রেমের টানে ভারতীয় মা-ছেলে সন্দ্বীপে, অতঃপর কারাভোগ

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেম হয় ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাসের। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে মাকে সঙ্গে নিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে আসে ওই যুবক। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে তারা।

তারপর ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল চার মাস ২১ দিন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কারাভোগ শেষে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাবে হস্তান্তর করা হয় মা-ছেলেকে।

প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলার ফুলতলি থানার মথুরানগর কলোনি লস্করপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎসজীবী।

আরও পড়ুন:  সিন্ডিকেটমুক্ত হলো সন্দ্বীপের সব নৌ-ঘাট

প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, দালালদের মাধ্যমে বিনা পাসপোর্টে কেউ যেন আমাদের মতো ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ না করে। আমরা যে ভুল করেছি যার জন্য প্রায় ৫ মাস জীবন থেকে ঝরে গেল।

এ সময় প্রাণ কৃষ্ণ দাসের মা কাজলী দাস বলেন, দালাল চক্রের মাধামে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মা-ছেলে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখে বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে গত ৭ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের কাছে আটক হয়। এরপর সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত।

হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন মোহন, হাবিলদার সাফার উদ্দিন, ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, দর্শনা থানার এসআই টিপু সুলতান, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, এএসআই মোমিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:  সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে উদীচীর প্রতিবাদ

ভারতের গেঁদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি বিতাশি, এসআই পি মুখার্জি, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত মন্ডল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই শামসুর রহমান, ডিআইবি সাধন মন্ডল, গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটির সভাপতি দীনু বন্ধু মহলদার প্রমুখ।

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল চার মাস ২১ দিন। কারাভোগ শেষে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাবে হস্তান্তর করা হয় মা-ছেলেকে।

এ সময় ভারতের সিনিয়র সিটিজেন গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটির সভাপতি দীনু বন্ধু মহলদার বলেন, দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আরও তৎপর হলে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন:  মাটির টানে ভাটির দেশে অনিন্দিতা দাস

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মন মোহন, হাবিলদার সাফার উদ্দিন, ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, দর্শনা থানার এসআই টিপু সুলতান, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, এএসআই মোমিন প্রমুখ।

এছাড়া ভারতের গেঁদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশি, এসআই পি মুর্খার্জি, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত মন্ডল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই শামসুর রহমান, ডিআইবি সাধন মন্ডল, গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটির সভাপতি দীনু বন্ধু মহলদার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *