আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এই বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই। তিনি বলেন, উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। এই বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাব বিজয়ের সোনালী বন্দরে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় কাদের এই কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আরও পড়ুন:  ‘নির্বাচন ঠেকানোর নামে আবারও অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি’

সেতুমন্ত্রী বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দু’টি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ যখন ফিরে যাই জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশ ৩২ নম্বরের পড়েছিল সিঁড়িতে। সেই লাশ ২দিন পর টুঙ্গিপাড়া ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধু দাফনে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৮/১৯ লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগ্যাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে।এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছে জয়।দেশে এসে তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নীরবে আবার চলে যাচ্ছে। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবার।

আরও পড়ুন:  আ.লীগ কর্মীদের দল আর বিএনপি মধ্যরাতে পদায়নের দল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিনি বলেন, আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দ’ুটি গুণ।
সড়ক পরিবহন বলেন, একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সস্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবার সবাই সততার প্রতীক।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *