ফের গাজার আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের অভিযান

গাজার মূল হাসপাতাল আল শিফায় ইসরায়েলের অভিযান চলছে। নেতানিয়াহুর স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই হাসপাতালে অভিযান চালালো ইসরায়েলের সৈন্যরা।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সোমবার এক ঘোষণায় এই কথা জানিয়ে বলেছে, হামাসের সিনিয়র সদস্যরা ভবনটি ব্যবহার করছে।

সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে আল শিফা হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট হামলা পরিচালনা করছে। সিনিয়র হামাস সন্ত্রাসীরা এই হাসপাতাল ভবন ব্যবহার করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা। গতবছরের নভেম্বরেও ইসরায়েল এই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আল শিফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভবনটি ইসরায়েলী ট্যাংক ঘিরে রেখেছে।

আরও পড়ুন:  শেখ হাসিনাকে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের অভিনন্দন

ইসরায়েল বার বার অভিযোগ করে আসছে, হামাস হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো থেকে তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। কিন্তু হামাস বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। গতবছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর পরপরই ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্নের অঙ্গীকার করে।

এদিকে, এখন পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া যেসব শিশুরা বেঁচে আছে তারা গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে, এমনকি এসব শিশুর কান্না করার মতো শক্তিটুকুও অবশিষ্ট নেই। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, অনেক শিশু এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে… আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে এত শিশুর মৃত্যু দেখিনি।

আরও পড়ুন:  মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে। ফলে সেখানে মানবিক সহায়তাবাহী ট্রাকগুলোকে নিয়ে যাওয়াটা ছিল খুব বড় একটি আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ।

যুদ্ধ বন্ধের বদলে রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *