রোজাদারের জন্য মহানবীর ৮ সুসংবাদ

মহান আল্লাহ রমজান মাসকে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানে মহিমান্বিত করেছেন। পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদার বর্ণনা এসেছে কোরআন ও হাদিসের অসংখ্য স্থানে। বিশেষ করে রমজান ও রোজার মর্যাদা সংক্রান্ত অসংখ্য হাদিস রয়েছে। যেমন—

১. রোজাদারের জন্য বিশেষ পুরস্কার : প্রতিটি নেক আমলের পুরস্কার আছে।

তবে রোজাদারের জন্য আল্লাহ বিশেষ পুরস্কার রেখেছেন। হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আদমসন্তানের প্রতিটি আমল তার জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। কেননা তা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দেব।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০৪)

২. রমজান ক্ষমার মাস : আল্লাহ রোজাদারকে ক্ষমা করেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় রমজানের রোজা পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

আরও পড়ুন:  জহির রায়হানের ৫২তম অন্তর্ধান দিবস আজ

৩. রোজাদারের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা : যারা রোজা রাখে, আল্লাহ ভালোবাসেন। নিচের হাদিসে সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, অবশ্যই রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের ঘ্রাণের চেয়েও উত্তম।

’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০৪)

৪. রমজানে গুনাহ মাফ হয় : মহান আল্লাহ রমজান মাসে মুমিনের পাপ মার্জনা করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এক জুমা থেকে অন্য জুমা এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের সব গুনাহর জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি সে কবিরা গুনাহয় লিপ্ত না হয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৩৮)

৫. রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা : সাহাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামের একটি দরজা আছে। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন শুধু রোজা পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তারা ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

আরও পড়ুন:  বঙ্গভবনে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় ভুটানের রাজার যোগদান

’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)

৬. জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস : রমজান জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ প্রতিদিন ইফতারের সময় কতিপয় বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন এবং তা প্রতি রাতেই হয়ে থাকে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

৭. মুমিনের খুশির মাস : রমজান হলো মুমিনের আনন্দের মাস। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য আছে দুটি আনন্দ। এক আনন্দ হলো যখন সে ইফতার করে, আরেক আনন্দ হলো, যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে মিলিত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৯২)

৮. দোয়া কবুলের মাসরমজান মুমিনের দোয়া কবুলের মাস। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশা, রোজা পালনকারী—যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৮)

আরও পড়ুন:  মহররম মাস ও আশুরার দিনে নবীজি (সা.) যেসব আমল করতেন

আল্লাহ সবাইকে রমজানের মর্যাদা রক্ষার তাওফিক দিন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *