গাজায় অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

সামরিক বিমান থেকে ত্রাণ সামগ্রী ফেলার কয়েকদিনের মাথায় এবার গাজায় ত্রাণ পাঠাতে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের জোর সমর্থন দিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি মানবিক সংকটে থাকা গাজাবাসীর কাছে ত্রাণ সহায়তা বৃদ্ধির ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে। 

দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ ঘোষণা দিতে পারেন।

অস্থায়ী এই বন্দর স্থাপন করা হলে মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাড়বে। তবে বন্দর স্থাপন করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা। ওই বন্দরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের কাছে পাঠানো ত্রাণ সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং প্রতিদিন অতিরিক্ত কয়েকশ ট্রাকে করে এসব ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এর আওতায় গাজার মাটিতে কোন মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না।

আরও পড়ুন:  জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বলল পেন্টাগন

গাজায় কোন গভীর সমুদ্র বন্দর নেই। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে জাহাজ থেকে ত্রাণ সামগ্রী কীভাবে নেয়া হবে তার উপায় খুঁজছিল।

এদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে গাজার এক চতুর্থাংশ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

জাতিসংঘের মতে, প্রায় ৮৫ শতাংশ গাজাবাসী খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যেখানে ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

আরও পড়ুন:  বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের তদন্ত দল

এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩০ হাজার হাজার ৮০০। এ ছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *