রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরুদ পড়া ইসলামের অন্যতম ইবাদত। তাঁর ওপর দরুদ পড়েন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ও তাঁর ফেরেশতারা। তাই মানুষকেও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে—‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করেন।

হে ঈমানদাররা, তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করো; এবং বেশি পরিমাণে সালাম পাঠ করো।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দরুদ পাঠের ভাবার্থ হলো—আল্লাহ তাআলা তাঁর ফেরেশতাদের সামনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রশংসা করেন। আর ফেরেশতাদের দরুদ পাঠের ভাবার্থ হলো—তাঁরা নবী (সা.)-এর জন্য বরকতের দোয়া করেন।

(ফাতহুল বারি : ৮/৩৯২)

একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা ১০টি রহমত নাজিল করেন।

আরও পড়ুন:  রোজাদারের জন্য মহানবীর ৮ সুসংবাদ

এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ১০টি রহমত বর্ষণ করেন।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৫)

বিশেষভাবে জুমার দিন মহানবী (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, আওস ইবন আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিনটি হচ্ছে জুমার দিন। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল।

এই দিনই তাঁর রুহ কবজ করা হয়েছিল, এই দিন (কিয়ামতের সময়) শিঙায় ফুৎকার দেওয়া হবে এবং এই দিনই বিকট শব্দ করা হবে। কাজেই এই দিন তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ পড়ো। কারণ তোমাদের দরুদগুলো আমার কাছে পেশ করা হয়। আওস ইবন আওস (রা.) বলেন, লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! কিভাবে আমাদের দরুদগুলো আপনার কাছে উপস্থাপন করা হবে—যখন আপনার শরীর জরাজীর্ণ হয়ে মিশে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ মাটির জন্য নবী-রাসুলদের দেহ (ভক্ষণ করা) হারাম করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:  আবারো বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মিয়ানমারের ৩ সেনা

(আবু দাউদ : ১০৪৭)
আনাস বিন মালেক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা জুমার দিন ও জুমার রাতে আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ যে আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করেন।

(সহিহুল জামে, হাদিস : ১২০৯)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *