ফাগুন দিনে ভালোবাসার পরশ বইমেলায়

কোকিলের কুহু ডাক শোনা যাক বা না যাক, বসন্তের প্রথম সকালে বরাবরের মতই বসন্ত বরণের বাদ্য বেজেছে চারুকলার বকুলতলায়।

ঋতুরাজকে বরণের সেই উৎসব মাতিয়ে তোলেন কণ্ঠ-নৃত্য শিল্পী ও যন্ত্রীরা।

সেখানে শামিল হতে এসেছিলেন সংস্কৃতিকর্মীরা, ছিলেন তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ। নারীদের পরনে ছিল বাসন্তী শাড়ি। খোঁপায় বা কব্জিতে জড়ানো ফুলের মালা। ছেলেরাও সেজেছিলেন রঙিন পাঞ্জাবিতে।

সেই সাজ দেখা গেলো বিকেলেও। পহেলা ফাগুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নিয়ে আগে থেকেই যেন নানা প্রস্তুতি সবার। তবে এ বছর  ফাগুন আর ভালোবাসা দিবসে উৎসবের আমেজটা একটু বেশিই। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের।

এদিনটা উদযাপনে আরও বেশি উৎসবে পরিণত হলো বইমেলা।  ফাগুনের ডাকে, বসন্তের আবাহনে সাড়া দিয়ে হাজারো বইপ্রেমী মানুষ সারাদিন যে যেখানেই থাকুক, শেষ বেলায় ছুটে এসেছেন বইমেলায়।

আরও পড়ুন:  একজন শুদ্ধাচারী রাজনৈতিক কমরেড মুজফ্‌ফর আহমদ

কেউ এসে পছন্দের বই কিনে পছন্দের মানুষকে উপহার দিচ্ছে। সঙ্গে দিচ্ছে ভালোবাসার গোলাপ। তা হোক যে রংয়েরই। শুধু গোলাপ নয় গোলাপের সঙ্গে মিশবে আরও নানা রঙের ফুল। নারীদের মাথায় শোভা পাবে ফুলের বেনি।

আহা ‘আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোঁটে কত বাঁশি বাজে কত পাখি গায়..’। কিংবা ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’। কিংবা ‘ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো..। ’ কিংবা শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে.. সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে। ’ এসব অমর পংক্তিমালায় যেন সবার দেহে-মনে-মননে তরঙ্গায়িত হয়েছে বারবার। দুলে উঠছে মনে মায়ার ও ভালোবাসার খেলা।

বুধবার  ফাগুনের আগুন শেষে ভালোবাসার রঙে রাঙ্গালো অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ভালোবাসার হাওয়ায় রঙিন হয়ে উঠলো বইমেলা। ভালোবাসার শেষ বিকেলে জমলো মেলা। ভালোবাসা আর বই যেন একইসূত্রে গাঁথা। প্রিয়জনকে না বলা কথা লেখক কলমে বলে দেওয়ায় বইয়ের গুরুত্ব অনেক। আর সেজন্যই প্রেমিকের মন খোঁজে বইয়ের আশ্রয়। প্রিয় পংক্তিমালাগুলো প্রিয়জনের হাতে তুলে দিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভিড় জমে বইমেলায়। বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *